ইসলামে সম্পত্তির হিসাবের নিয়মকানুন বেশ বিস্তারিত এবং এর মূল ভিত্তি হলো কুরআন ও সুন্নাহ। এখানে কিছু মৌলিক বিষয় আলোচনা করা হলো:
উত্তরাধিকারের নিয়ম:
- যদি কোনো ব্যক্তি মারা যায়, তাহলে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে তার স্ত্রী, সন্তান (ছেলে ও মেয়ে উভয়েই), পিতা-মাতা এবং অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের অধিকার থাকে।
- মেয়েদের ক্ষেত্রে, যদি মৃত ব্যক্তির পুত্র থাকে, তাহলে কন্যা তার অর্ধেক সম্পত্তি পাবে। অর্থাৎ, যদি একজন পুত্র থাকে, তাহলে কন্যা তার অর্ধেক পাবে এবং বাকি অর্ধেক পুত্র পাবে।
- যদি মৃত ব্যক্তির একাধিক কন্যা থাকে এবং কোনো পুত্র না থাকে, তাহলে তারা সকলে মিলে মোট সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ পাবে।
- যদি মৃত ব্যক্তির শুধু কন্যা থাকে এবং কোনো পুত্র না থাকে, তাহলে কন্যা একাই অর্ধেক সম্পত্তি পাবে।
- স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ পাবে, যদি তাদের সন্তান থাকে। যদি সন্তান না থাকে, তাহলে স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ পাবে।
সম্পত্তির হিসাবের উদাহরণ:
-
যদি একজন ব্যক্তি মারা যায় এবং তার স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা থাকে, তাহলে সম্পত্তি ভাগ হবে নিম্নরূপ:
- স্ত্রী: এক-চতুর্থাংশ
- পুত্র: তিন-চতুর্থাংশের দুই ভাগ (অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি)
- কন্যা: তিন-চতুর্থাংশের এক ভাগ (অর্থাৎ অর্ধেকের কম)
-
যদি একজন ব্যক্তি মারা যায় এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যা থাকে, তাহলে সম্পত্তি ভাগ হবে নিম্নরূপ:
- স্ত্রী: এক-চতুর্থাংশ
- কন্যারা: দুই-তৃতীয়াংশ (উভয়ে সমানভাবে ভাগ করে নেবে)
-
যদি একজন ব্যক্তি মারা যায় এবং তার শুধু এক কন্যা থাকে, তাহলে সম্পত্তি ভাগ হবে নিম্নরূপ:
- কন্যা: অর্ধেক
- বাকি অর্ধেক অন্যান্য উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ভাগ হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- ইসলামে সম্পত্তির অধিকার একটি জটিল বিষয় এবং এর বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে।
- সম্পত্তির হিসাব করার সময়, মৃত ব্যক্তির পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের অবস্থা বিবেচনা করা হয়।
- এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য, একজন আলেম বা ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে।
ইসলামে সম্পত্তির হিসাবের নিয়মকানুন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটি সঠিকভাবে জানা ও মানা আমাদের সকলের জন্য আবশ্যক।