ফেনী জেলার পর্যটন, হোটেল ও ভ্রমণ বিবরণ
ফেনী বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ জেলা। এই জেলাটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং ধর্মীয় স্থানগুলির জন্য বিখ্যাত।
দর্শনীয় স্থান
- চাঁদগাজী ভূঁয়া মসজিদ: প্রায় তিনশত বছরের পুরনো এই মসজিদটি ফেনী অঞ্চলের সর্বাধিক প্রাচীন পাকা মসজিদ। ঐ ঐতিহ্যগত কারণে এ মসজিদ দেখার জন্য ইতিহাস সন্ধানী পর্যটকরা সেখানে যায়।
- শার্শাদি গ্রামের প্রাচীন মসজিদ: এই মসজিদটিও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ।
- রাজাঝির দীঘি: ফেনী শহরের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত এই দীঘিটি অবহেলায় শ্রীহীন হয়ে পড়েছে।
- শিলুয়ার শীল পাথর: ছাগলনাইয়া উপজেলায় শিলুয়া গ্রামে এক প্রাচীন শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এর শিলপাথরের কারণেই গ্রামের নাম হয় শিলুয়া।
- পাগলা মিয়ার মাজার: দরবেশ পাগলা মিয়ার প্রকৃত নাম সৈয়দ আমীর উদ্দিন(রঃ) । প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবারে তার জন্মতিথিতে মাজারে ওরশ হয় ।
- জগন্নাথকালী মন্দির: ছাগলনাইয়া অবস্থিত।
- চাঁদগাজী মসজিদ: মোগল আমলের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন চাঁদগাজী ভূঞা। ছাগলনাইয়ায় চাঁদগাজী বাজারের কাছে মাটিয়া গোধা গ্রামে অতীত ইতিহাসের সাক্ষী হিসাব অবস্থান করছে এ মসজিদ।
- শুভপুর ব্রীজ: ছাগলনাইয়ার প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের আরেকটি অন্যতম নিদর্শন ফেনী নদীর উপর নির্মিত শুভপুর ব্রীজ।
- কৈয়ারা দিঘী: ছাগলনাইয়ার প্রকৃতির আরেক দর্শনীয় স্থান।
- শমসের গাজীর বসত ঘর: বৃটিশ শাসনের আগে ভারতীয় উপমহাদেশে (তথা ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) মুসলীম শাসকরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন।তাদের মধ্যে বাংলার বীর শমসের গাজী অন্যতম। তার জম্মস্থান ছিল ছাগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলার চম্পকনগরে।
হোটেল ও আবাসন
ফেনীতে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- হোটেল ফেনী প্যালেস
- হোটেল সুন্দরবন
- হোটেল আকাশ
- হোটেল সিটি
- হোটেল প্যালেস
- হোটেল গ্র্যান্ড
ভ্রমণের পরিকল্পনা
ফেনী ভ্রমণের আগে আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে:
- কখন যাবেন: শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
- কোথায় থাকবেন: আপনার বাজেট এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে হোটেল বা গেস্ট হাউস বুক করতে পারেন।
- কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে ফেনী যাওয়ার জন্য সড়ক এবং রেল পরিষেবা রয়েছে।
মনে রাখবেন:
- স্থানীয়দের সাথে মিশ্রিত হয়ে তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুন।
- স্থানীয় খাবার খেয়ে দেখুন।
- স্থানীয় পোশাক পরে দেখুন।
- স্থানীয় হাট-বাজার ঘুরে দেখুন।
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে।
আপনি কি ফেনী জেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান বা কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও তথ্য চান?
আপনার ভ্রমণ সুখকর হোক!
No comments:
Post a Comment