ঠাকুরগাঁও জেলা: প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ঠাকুরগাঁও জেলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। এই জেলাটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত।
দর্শনীয় স্থান
- কোরমখান গড়: ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় এগার কিলোমিটার উত্তরে টাঙ্গন ব্যারেজ থেকে দু'কিলোমিটার পূর্বে কোরমখান গড় অবস্থিত।
- গড় ভবানীপুর: হরিপুর উপজেলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে ভারতীয় সীমান্তের সন্নিকটে ভাতুরিয়া নামক গ্রামে অবস্থিত।
- গড়খাঁড়ি দুর্গ: বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেলতলা গ্রামে গড়খাঁড়ি দুর্গটি অবস্থিত।
- গড়গ্রাম দুর্গ: রানীশংকৈল উপজেলার প্রায় তের মাইল উত্তরে নেকমরদ হাট ও মাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে গড়গ্রামে দুর্গের ধ্বংসাবশেষটি অবস্থিত।
- গড়েয়া ইসকন মন্দির: ঠাকুরগাঁও সদর।
- গেদুড়া মসজিদ: হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নে অবস্থিত।
- গোবিন্দনগর মন্দির: ঠাকুরগাঁও শহরে টাঙ্গন নদীর পশ্চিম তীরে কলেজপাড়ায় গোবিন্দনগর মন্দিরটি অবস্থিত।
- গোরক্ষনাথ মন্দির: রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে অবস্থিত।
- গোরক্ষনাথ মন্দির কূপ ও শিলালিপি: রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে গোরকুই নামের একটি গ্রামে অবস্থিত।
- ছোট বালিয়া জামে মসজিদ: ঠাকুরগাঁও শহর থেকে মাত্র ১৮ কি.মি. দূরে ছোট বালিয়া গ্রামে অবস্থিত।
- জগদল রাজবাড়ি: রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে জগদল নামক স্থানে অবস্থিত।
- জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ: ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জ হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
- ডিসি পর্যটন পার্ক, ঠাকুরগাঁও
- ঢোলরহাট মন্দির: ঠাকুরগাঁও শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে রুহিয়া যাওয়ার পথে ঢোলরহাট নামক স্থানে অবস্থিত।
- তামলাই দিঘি, পীরগঞ্জ
- ধন্যা কুমারী মারিয়া গির্জা, ঠাকুরগাঁও সদর
- ফতেপুর মসজিদ: বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে প্রায় সাত কি.মি. পশ্চিমে মোড়লহাটের সন্নিকটে।
- বলাকা উদ্যান বা কুমিল্লা হাড়ি বিনোদন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৬.০০ কি.মি. দূরে জগন্নাথপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।
- বাংলা গড়:
রানীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার উত্তরে এবং নেকমরদ থেকে প্রায়
পাঁচকিলোমিটার পূর্বদিকে কাতিহার-পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এটি অবস্থিত।
এছাড়াও, ঠাকুরগাঁওয়ে কমলা ও মাল্টা বাগান, শালবাড়ি মসজিদ, গোরক্ষনাথ মন্দির কূপ ও শিলালিপি, জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, তামলাই দিঘি, ধন্যা কুমারী মারিয়া গির্জা, ফতেপুর মসজিদ, বলাকা উদ্যান বা কুমিল্লা হাড়ি বিনোদন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট, বাংলা গড় ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
হোটেল ও আবাসন
ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন মানের হোটেল ও মোটেল পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতেও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, সুযোগ সুবিধার দিক থেকে হোটেলগুলোই বেশি ভালো।
ভ্রমণের সেরা সময়
ঠাকুরগাঁও ভ্রমণের জন্য শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময় আবহাওয়া খুবই সুন্দর থাকে এবং ঘুরতে বের হওয়া স্বাচ্ছন্দ্যকর।
ভ্রমণের পরিকল্পনা
- যাতায়াত: ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার জন্য বাস, ট্রেন বা লঞ্চ ব্যবহার করা যায়।
- খাবার: ঠাকুরগাঁওয়ে স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
- পোশাক: হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরে ভ্রমণ করা উচিত।
মনে রাখবেন
- স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
- পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতন থাকুন।
ঠাকুরগাঁও ভ্রমণ করে আপনি এক অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন।
আপনি কি আরো কোন তথ্য জানতে চান?
- যেমন, ঠাকুরগাঁওয়ে কোন কোন হোটেলগুলো ভালো, বা কোন কোন স্থানে খাবার খাওয়া যায়।
আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত।
আপনার ভ্রমণ যেন সুখকর হয়!
No comments:
Post a Comment