রোজা রাখার নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. নিয়ত করা:
- রোজা রাখার আগে নিয়ত করা জরুরি। নিয়ত হলো মনে মনে রোজা রাখার সংকল্প করা।
- নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়, তবে কেউ চাইলে মুখেও বলতে পারে।
- রোজার নিয়ত সাধারণত রাতে সেহরি খাওয়ার পরেই করা হয়।
২. সেহরি খাওয়া:
- রোজার আগে ভোররাতে কিছু খাওয়া সুন্নত।
- একে সেহরি বলা হয়।
- সেহরি খাওয়ার সময়সীমা সুবহে সাদিক পর্যন্ত থাকে।
- সুবহে সাদিক হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যায়।
৩. পানাহার থেকে বিরত থাকা:
- সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়।
- এমনকি থুথু গেলা বা কোনো ওষুধ খাওয়াও নিষেধ।
৪. খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা:
- রোজা অবস্থায় শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকলেই হয় না, বরং সকল প্রকার খারাপ কাজ, যেমন - মিথ্যা বলা, গীবত করা, ঝগড়া করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হয়।
- কু-নজর থেকে চোখকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় এবং মনে খারাপ চিন্তা আনাও উচিত নয়।
৫. বেশি বেশি ইবাদত করা:
- রোজা অবস্থায় বেশি বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করা, নামাজ পড়া, দোয়া করা এবং আল্লাহর জিকির করা উচিত।
- এতে রোজার ফজিলত আরও বৃদ্ধি পায়।
৬. সূর্যাস্তের পর ইফতার করা:
- সন্ধ্যায় সূর্য ডোবার পর রোজা ভাঙা বা ইফতার করা হয়।
- ইফতারের সময় দোয়া করা সুন্নত।
- ইফতারের জন্য খেজুর, পানি, ফল ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।
কিছু অতিরিক্ত বিষয়:
- অসুস্থ হলে বা কোনো কারণে রোজা রাখতে অসুবিধা হলে, পরে সেই রোজা কাজা করা যায়।
- মহিলারা মাসিক অবস্থায় রোজা রাখা থেকে বিরত থাকতে পারেন, তবে পরে তা কাজা করতে হয়।
- রোজা অবস্থায় শরীর দুর্বল লাগলে বা কোনো সমস্যা হলে, ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
রোজা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা মুসলমানদের জীবনকে সুন্দর ও পবিত্র করে তোলে।
No comments:
Post a Comment