শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে একটি বিশেষ ধরনের একাউন্ট খুলতে হবে, যাকে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) একাউন্ট বলা হয়। এই একাউন্টটি আপনি কোনো একজন নিবন্ধিত ব্রোকার হাউজে খুলতে পারবেন।
বিও একাউন্ট কেন প্রয়োজন?
- শেয়ার কেনা-বেচা: এই একাউন্টের মাধ্যমেই আপনি শেয়ার বাজারে শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন।
- টাকা জমা ও উত্তোলন: আপনার বিনিয়োগের জন্য টাকা এই একাউন্টে জমা রাখতে হবে এবং লাভ হলে তা থেকে উত্তোলন করতে পারবেন।
- শেয়ারের রেকর্ড: আপনার কেনা শেয়ারের সব তথ্য এই একাউন্টে রেকর্ড করা থাকবে।
বিও একাউন্টের ধরন:
সাধারণত দুই ধরনের বিও একাউন্ট থাকে:
- সাধারণ বিও একাউন্ট: বাংলাদেশী নাগরিকরা সাধারণত এই একাউন্টটি খোলেন। এটি আবার তিন ধরনের হতে পারে:
- একক মালিকানাধীন: আপনি নিজের নামে একাউন্ট খুলবেন।
- যৌথ মালিকানাধীন: দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
- কোম্পানির নামে: আপনার কোম্পানির নামে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
- এনআরবি বিও একাউন্ট: বাংলাদেশী প্রবাসী এবং বিদেশী নাগরিকরা এই একাউন্টটি খুলতে পারেন।
বিও একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- আবেদনকারীর কপি ছবি
- এনআইডি বা পাসপোর্টের কপি
- ব্যাংকের তথ্য
বিও একাউন্ট খোলার পদ্ধতি:
- আপনি যে ব্রোকার হাউজে একাউন্ট খুলতে চান, সেখানে যোগাযোগ করুন।
- তারা আপনাকে একটি ফর্ম দেবে, যা পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
- কিছুদিনের মধ্যে আপনার একাউন্টটি খুলে যাবে।
বিও একাউন্ট খোলার পর:
- আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ব্রোকার হাউজের একাউন্টে টাকা জমা করুন।
- ব্রোকার হাউজের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন।
মনে রাখবেন:
- বিভিন্ন ব্রোকার হাউজের ফি এবং চার্জ আলাদা হতে পারে। তাই একাধিক ব্রোকার হাউজের সাথে যোগাযোগ করে তুলনা করে নিন।
- শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বিনিয়োগ করার আগে ভালো করে গবেষণা করুন এবং একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আপনি কোন ব্রোকার হাউজে একাউন্ট খুলবেন, তা নির্ধারণ করার আগে তাদের ওয়েবসাইট দেখে বা তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য নিন।
No comments:
Post a Comment