শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে, এর সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। এই ঝুঁকিগুলো বুঝলে আপনি আপনার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত আরও ভালোভাবে নিতে পারবেন এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
শেয়ার বাজারের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি:
- বাজারের ঝুঁকি: সমগ্র বাজারের উত্থান-পতনের কারণে শেয়ারের দাম বাড়তে বা কমতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে বাজারের সাধারণত নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়।
- কোম্পানির নির্দিষ্ট ঝুঁকি: কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, পণ্যের চাহিদা, প্রতিযোগিতা ইত্যাদির কারণে শেয়ারের দাম কমতে পারে।
- দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ঝুঁকি: কোনো দেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিদেশী মুদ্রার মূল্য পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে শেয়ারের দাম প্রভাবিত হতে পারে।
- ব্যবস্থাপনার ঝুঁকি: কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, ভুল সিদ্ধান্ত ইত্যাদি কারণে কোম্পানির কর্মক্ষমতা এবং শেয়ারের দাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- বাজারের অস্থিরতার ঝুঁকি: বাজারের অস্থিরতা বেড়ে গেলে শেয়ারের দাম দ্রুত ও অপ্রত্যাশিতভাবে উঠানামা করতে পারে।
- মূল্যায়নের ঝুঁকি: কোম্পানির মূল্য সঠিকভাবে নির্ধারিত না হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
- লিকুইডিটির ঝুঁকি: কোনো শেয়ার যদি কম লেনদেন করা হয়, তাহলে তা দ্রুত বিক্রি করা কঠিন হতে পারে।
এই ঝুঁকিগুলো কমানোর জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:
- বিভিন্নীকরণ: একাধিক কোম্পানি এবং শিল্পে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি কমানো যায়।
- দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি: স্বল্পমেয়াদী বাজারের উত্থান-পতনে নজর না দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের উপর ফোকাস করুন।
- গবেষণা: বিনিয়োগ করার আগে কোম্পানি এবং বাজার সম্পর্কে ভালো করে গবেষণা করুন।
- ব্রোকারের পরামর্শ: একজন ভালো ব্রোকারের পরামর্শ নিন।
- ঝুঁকি সহনশীলতা: আপনার ঝুঁকি সহনশীলতার সাথে মিলিয়ে বিনিয়োগ করুন।
মনে রাখবেন: শেয়ার বাজারে কোনো নিশ্চিত লাভ নেই। তাই বিনিয়োগ করার আগে ভালো করে ভাবুন এবং ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকুন।
No comments:
Post a Comment