শবে মেরাজ মুসলিমদের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নির্দেশে বোরাক নামক একটি বিশেষ বাহনে করে মক্কা থেকে জেরুজালেমে যান এবং সেখান থেকে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই রাতে নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়।
শবে মেরাজের ফজিলত:
১. আল্লাহর নৈকট্য লাভ: এই রাতে আল্লাহর রাসূল (সা.) সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
২. দোয়া কবুল: এই রাতে বান্দাদের দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং নিজের প্রয়োজন ও ইচ্ছার জন্য দোয়া করা উচিত।
৩. গুনাহ মাফ: এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন।
শবে মেরাজের রাতে ইবাদত করার নিয়ম:
১. নফল নামাজ: এই রাতে নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত রাকাত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়তে পারেন।
২. কোরআন তেলাওয়াত: কোরআন তেলাওয়াত করা একটি উত্তম ইবাদত। এই রাতে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করুন।
৩. দোয়া ও ইস্তেগফার: আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং বেশি বেশি করে দোয়া ও ইস্তেগফার করুন।
৪. জিকির ও তাসবিহ: আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ পাঠের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুন।
৫. দান-সদকা: এই রাতে দান-সদকা করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- শবে মেরাজের ইবাদতগুলো মন থেকে করুন এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও ভরসা রাখুন।
- এই রাতে বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং তাঁর রহমত কামনা করুন।
- শবে মেরাজ একটি বিশেষ রাত, তবে এর মানে এই নয় যে অন্য রাতে ইবাদত করা যাবে না। একজন মুমিনের জীবন সবসময়ই আল্লাহর ইবাদতে পরিপূর্ণ থাকা উচিত।
শবে মেরাজ আমাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং তাঁর নৈকট্য লাভের। এই রাতে আমরা যেন বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।
No comments:
Post a Comment