শবে কদর মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত বরকতময় একটি রাত। এটি রমজান মাসের শেষ দশকের যেকোনো একটি বিজোড় রাত। এই রাতের ফজিলত হাজার মাসের চেয়েও বেশি। আল্লাহ তাআলা এই রাতে কোরআন নাজিল করেছেন এবং এই রাতের ইবাদত অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
শবে কদরের ফজিলত:
১. হাজার মাসের চেয়ে উত্তম: এই রাতের ইবাদত হাজার মাস অর্থাৎ প্রায় ৮৩ বছর ৪ মাসের ইবাদতের সমান।
২. কোরআন নাজিল: এই রাতে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক গ্রন্থ কোরআন নাজিল করেছেন।
৩. ফেরেশতাদের অবতরণ: এই রাতে অসংখ্য ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং ইবাদতকারীদের জন্য দোয়া করেন।
৪. শান্তি ও নিরাপত্তা: এই রাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নাজিল হয়।
শবে কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম:
১. নফল নামাজ: এই রাতে নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত রাকাত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়তে পারেন।
২. কোরআন তেলাওয়াত: কোরআন তেলাওয়াত করা একটি উত্তম ইবাদত। এই রাতে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করুন।
৩. দোয়া ও ইস্তেগফার: আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং বেশি বেশি করে দোয়া ও ইস্তেগফার করুন।
৪. জিকির ও তাসবিহ: আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ পাঠের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুন।
৫. দান-সদকা: এই রাতে দান-সদকা করাও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- শবে কদরের ইবাদতগুলো মন থেকে করুন এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও ভরসা রাখুন।
- এই রাতে বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং তাঁর রহমত কামনা করুন।
- শবে কদর একটি বিশেষ রাত, তবে এর মানে এই নয় যে অন্য রাতে ইবাদত করা যাবে না। একজন মুমিনের জীবন সবসময়ই আল্লাহর ইবাদতে পরিপূর্ণ থাকা উচিত।
শবে কদর আমাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং তাঁর নৈকট্য লাভের। এই রাতে আমরা যেন বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।
No comments:
Post a Comment