ডায়াবেটিস কী?
ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়। শরীরে ইনসুলিনের অভাব বা ইনসুলিন যথাযথভাবে কাজ না করার কারণে এই অবস্থা দেখা দেয়। ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যা রক্তে শর্করাকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের দুটি প্রধান ধরন:
- টাইপ ১ ডায়াবেটিস: এই ধরনের ডায়াবেটিসে শরীরের ইনসুলিন তৈরি করা বন্ধ হয়ে যায়।
- টাইপ ২ ডায়াবেটিস: এই ধরনের ডায়াবেটিসে শরীরের কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলে।
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কী?
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হলো এক অবস্থা যেখানে শরীরের কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেয় না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স প্রায়শই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের পূর্বসূরক।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
- অতিরিক্ত তৃষ্ণা
- ঘন ঘন প্রস্রাব
- অতিরিক্ত ক্ষুধা
- অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া
- ক্লান্তি
- ঝাপসা দৃষ্টি
- ধীর গতিতে ক্ষত সারা
- হাত বা পায়ে ঝিঁঝিঁানি বা অসাড়তা
- চুলকানি
ডায়াবেটিসের কারণ
- বংশগতি: পরিবারে যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে আপনারও হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
- অতিরিক্ত ওজন: স্থূলতা ডায়াবেটিসের একটি প্রধান কারণ।
- শারীরিক অক্রিয়তা: নিয়মিত ব্যায়াম না করলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
- উচ্চ কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরলও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিসের জটিলতা
- হৃদরোগ
- স্ট্রোক
- কিডনি রোগ
- নার্ভের ক্ষতি
- চোখের সমস্যা
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
- ওষুধ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন বা অন্যান্য ওষুধ সেবন করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: শর্করা জাতীয় খাবার কম খান, ফল, সবজি, পুরো শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মধ্যম তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিসকে আরও খারাপ করে তোলে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
- রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা: নিজে রক্তের শর্করা মাত্রা পরীক্ষা করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন।
ডায়াবেটিস একটি গুরুতর রোগ। তাই এই রোগটি নিয়ে হালকাভাবে না নিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি।
Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনো ডাক্তারের পরামর্শের বিকল্প নয়।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ
ডায়াবেটিস: একটি সারসংক্ষেপ বিবরণ
ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন প্রণালী
ডায়াবেটিস কেন হয়?
ডায়বেটিস রোগ থেকে মুক্তির উপায় কী?
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
ডায়বেটিস কমানো যায় কিভাবে?
ডায়বেটিস হলে করণীয় কী?
কিভাবে বুঝবেন, যে আপনার ডায়বেটিস হয়েছে?
ডায়াবেটিস কেন হয় এবং এর চিকিৎসা। স্থায়ীভাবে কি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্ভব?
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের কারণ কী?
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য সুষম খাদ্য তালিকা
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের জন্য জীবনধারা ও ডায়েট
কিভাবে জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকা যাবে?
ডায়াবেটিস হলে কী খাওয়া উচিত নয়?
ডায়াবেটিস মেলিটাস ও ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস-এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বংশগত কারণে ডায়াবেটিস: একটি বিস্তারিত আলোচনা
টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস: এক নজরে তুলনা
টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস: কোনটি বেশি ক্ষতিকর?
ডায়াবেটিসের ঔষধ: একটি বিস্তারিত আলোচনা
রক্তে শর্করার মাত্রা কত হলে ডায়াবেটিস বোঝা যায়?
ডায়াবেটিসের মাত্রা পরিমাপ করার উপায়
No comments:
Post a Comment