ডায়াবেটিস হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত:
- সাদা চাল, ময়দা এবং মিষ্টি: এই খাবারগুলোতে সহজে হজম হওয়া শর্করা থাকে, যা খুব দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
- মিষ্টি পানীয়: সফট ড্রিঙ্কস, জুস, এনার্জি ড্রিঙ্কস, ফলের রস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।
- বেকারি পণ্য: কেক, কুকি, পেস্ট্রি, ব্রেড ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং চর্বি থাকে।
- ফাস্ট ফুড: বার্গার, পিজ্জা, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদি অতিরিক্ত চর্বি, নুন এবং শর্করা সমৃদ্ধ।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: সসেজ, হটডগ, নুডলস ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে সংরক্ষক এবং অতিরিক্ত চিনি থাকে।
- চিনি যোগ করা দই: অনেক দইয়ে চিনি যোগ করা থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
- অতিরিক্ত ফল: ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর হলেও, অতিরিক্ত ফল খাওয়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- আলু: আলুতে শর্করা থাকে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে।
কেন এই খাবারগুলো এড়াতে হবে:
- রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়: উপরোক্ত খাবারগুলোতে সহজে হজম হওয়া শর্করা থাকে, যা খুব দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
- ওজন বৃদ্ধি: এই খাবারগুলোতে ক্যালরি এবং চর্বি বেশি থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
- অন্যান্য জটিলতা: এই খাবারগুলো হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের মতো অন্যান্য জটিলতা বাড়াতে পারে।
কী খাওয়া উচিত:
- সবজি: সব ধরনের সবজি, বিশেষ করে পাতাচাষের সবজি, শসা, টম্যাটো, বেগুন ইত্যাদি।
- ফল: আপেল, পেয়ারা, জাম্বুরা, কমলা ইত্যাদি ফল খেতে পারেন। তবে এগুলো মাত্রাতিরিক্ত খাবেন না।
- পুরো শস্য: বাদাম, ব্রাউন রাইস, ওটস ইত্যাদি।
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: কম চর্বিযুক্ত দুধ, দই, পনির ইত্যাদি খেতে পারেন।
- মাছ ও মুরগি: চর্বি কমযুক্ত মাছ ও মুরগি প্রোটিনের ভালো উৎস।
মনে রাখবেন: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই জরুরি। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে আপনার জন্য উপযুক্ত খাদ্য তালিকা তৈরি করতে পারেন।
Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং এটি কোনো ডাক্তারের পরামর্শের বিকল্প নয়।
ডায়াবেটিস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ
ডায়াবেটিস: একটি সারসংক্ষেপ বিবরণ
ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপন প্রণালী
ডায়াবেটিস কেন হয়?
ডায়বেটিস রোগ থেকে মুক্তির উপায় কী?
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
ডায়বেটিস কমানো যায় কিভাবে?
ডায়বেটিস হলে করণীয় কী?
কিভাবে বুঝবেন, যে আপনার ডায়বেটিস হয়েছে?
ডায়াবেটিস কেন হয় এবং এর চিকিৎসা। স্থায়ীভাবে কি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্ভব?
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের কারণ কী?
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য সুষম খাদ্য তালিকা
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের জন্য জীবনধারা ও ডায়েট
কিভাবে জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকা যাবে?
ডায়বেটিস কী? ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কী?
ডায়াবেটিস মেলিটাস ও ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস-এর মধ্যে পার্থক্য কী?
বংশগত কারণে ডায়াবেটিস: একটি বিস্তারিত আলোচনা
টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস: এক নজরে তুলনা
টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস: কোনটি বেশি ক্ষতিকর?
ডায়াবেটিসের ঔষধ: একটি বিস্তারিত আলোচনা
রক্তে শর্করার মাত্রা কত হলে ডায়াবেটিস বোঝা যায়?
ডায়াবেটিসের মাত্রা পরিমাপ করার উপায়
No comments:
Post a Comment